Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের তথ্য বাতায়নে স্বাগতম , জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদ অনৈতিক আর্থিক লেনদেন মুক্ত ,সকল প্রকার সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা বিনা মূলে আবেদন করা হয় কেউ যদি কোন প্রকার অর্থ দাবী করিয়া থাকে এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো 01912020685

 জন্ম ও মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক 


হাট বাজার

জিঞ্জিরা বা জিনজিরা, বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক এলাকা। তাওয়াপট্টি, টিনপট্টি, আগানগর, বাসপট্টি, কাঠপট্টি, থানাঘাট, ফেরিঘাট এলাকার বাসাবাড়ি নিয়ে বিস্তৃতি ঘটেছে প্রায় ১২০০'রও বেশি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প।[১] এ শিল্পগুলোর ওপর নির্ভর করছে ৩০ হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহ। ব্রিটিশ আমলে নদী সংলগ্ন জিঞ্জিরা ঘাট ছিল তৎকালীন ঢাকার উল্লেখযোগ্য একটি ঘাট।[২] 

অবস্থান

জিঞ্জিরা ঢাকা জেলারকেরানিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[৩]বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এর অবস্থান। 

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধের পর সিরাজ উদ-দৌলার পতনের পর তার মা আমেনা বেগম, স্ত্রী লূৎফা বেগম, মেয়ে কুদসিয়া বেগম ওরফে উম্মে জোহরা এবং খালা ঘসেটি বেগমকে কড়া পাহাড়ায় বন্দী করে রাখা হয় জিনজিরা প্রাসাদে। তাদের শিকল বা জিঞ্জির পরিয়ে বন্দি করে রাখা হয়, আর ঐতিহাসিকদের মতে এই জিঞ্জির পরানোর ঘটনা চাউর হয়ে গেলে তা থেকেই পরবর্তীকালে এ অঞ্চলের নাম হয় জিনজিরা।[৪] বাংলায় নবাবি আমল থেকে ঢাকার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে জিঞ্জিরা প্রসিদ্ধ হয়ে উঠে। নদীপথে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন প্রকারের পণ্য বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে বিক্রির জন্য এখানকার হাটে তোলা হতো। ব্রিটিশ আমলে জিঞ্জিরা হাট কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, টিনজাত সামগ্রী, মশলা, গজারি লাকরি (খুঁটি), বিভিন্ন প্রকারের সাইজ-কাঠ, বাঁশ ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠে। এছাড়া মৃৎশিল্প, লোহার সামগ্রীর জন্যও জিঞ্জিরা একই সময়ে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান শাসনামলে জিঞ্জিরা এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠে। এসবের মধ্যে আলকাতরা, নারিকেল তেল, সাবান, ডিটারজেন্ট, শাড়ি-লুঙ্গি উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতা-পরবর্তী রাসায়নিক পদার্থনির্ভর ভোগ্যপণ্য, মেলামাইনসহ আরও অনেক পণ্যের কারখানা গড়ে ওঠে এবং ক্রমেই এর প্রসার বাড়তে থাকে।[৩]